• ৩রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল দর্শনার্থী কার্ড চালু হচ্ছে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত মার্চ ১১, ২০২৫, ২২:৪৭ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল দর্শনার্থী কার্ড চালু হচ্ছে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক:বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চালু হতে যাচ্ছে দর্শনার্থী কার্ড। সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে আগামী সপ্তাহে হাসপাতালের মেডিসিন ভবনে প্রাথমিকভাবে এই কার্ডটি চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা পুরো হাসপাতালে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং অতিরিক্ত দর্শনার্থী ঠেকাতে এই কার্ড চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর।

১৯৬৮ সালে মাত্র ৩৬০ শয্যার অবকাঠামো নিয়ে নির্মিত হয় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বর্তমানে এই হাসপাতালে প্রতি একজন রোগীর সঙ্গে ৪-৫ জন দর্শনার্থী অথবা স্বজন অবস্থান করেন।

দিনদিন রোগী ও রোগীর স্বজনদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সেই তুলনায় হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি।

ফলে মানুষের অতিরিক্ত চাপে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ কারণে হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে দর্শনার্থী কার্ড চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের দায়িত্বে থাকা ওয়ার্ড মাস্টার জুয়েল চন্দ্র শীল বলেন, মশিউল মুনীর স্যার সম্প্রতি মেডিসিন ভবনে চিকিৎসক, সেবিকা ও রোগীদের জন্য একাধিক পৃথক টয়লেট ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে নতুন জানালার ব্যবস্থা করেছেন।

এই ভবনে আরো সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দর্শনার্থী কার্ড বা গেট পাশের ব্যবস্থা চালু করছেন পরিচালক স্যার। ইতোমধ্যে দর্শনার্থী কার্ড সম্পর্কে নিয়ম ও শর্তাবলি ব্যানার আকারে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থার নিয়মে বলা হয়েছে- দর্শনার্থী কার্ড ব্যতীত হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। ১০০ টাকা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে, কার্ড জমা দিয়ে ১০০ টাকা ফেরত নেওয়া যাবে। একজন রোগীর জন্য সর্বোচ্চ দুইটি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে। কার্ডের মেয়াদ ৭দিন। মেয়াদ উত্তীর্ণ কার্ড ব্যবহার করলে ১০০টাকা জরিমানা আদায় করা হবে।

হাসপাতালের সরকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোঃ মাহমুদ হাসান বলেন, দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থা চালু হলে এই হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার দর্শনার্থীর চাপ কমে যাবে। আগামী সপ্তাহেই প্রাথমিকভাবে মেডিসিন ভবনে দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থা চালু হবে। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালে পুরো অন্তঃবিভাগে এই নিয়ম চলবে।

তিনি আরো বলেন, হাসপতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর স্যারের নির্দেশে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে দর্শনার্থী কার্ড বিতরণ করা হবে। কম্পিউটারে কবে থেকে রোগীর লোকজন কার্ড ব্যবহার করছেন সেসব তথ্য লিপিবদ্ধ করা থাকবে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে হাসপাতালে চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হয়।

সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতালে যেন অতিরিক্ত দর্শনার্থী প্রবেশ না করতে পারে, সেজন্য দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থা চালু করা হবে। ভিজিটিং আওয়ারে (বিকেল ৩টা থেকে ৫টা) দর্শনার্থীরা কার্ড ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেন না। হাসপাতালের পরিবেশ উন্নয়নে সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।