• ৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালী আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মা*রা*মা*রি, আ*হ*ত ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত জুন ২৫, ২০২৫, ২৩:২০ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালী আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মা*রা*মা*রি, আ*হ*ত ৫
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এতে আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতাসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল নোমান, অ্যাড. হাসিবুর রহমান, কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আতিকুল ইসলাম দিপু, কলাপাড়া পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল এবং পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজল তালুকদার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামিন শুনানির সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয়, যা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনজীবীদের হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায়।

ঘটনার সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমি পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরপরই বাদীপক্ষের আইনজীবীরা অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল নোমানের ওপর আক্রমণ করেন।”

অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগপন্থী হয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছেন। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জামিনে বাধা সৃষ্টি করেন এবং হুমকি-ধামকি দেন।”

অপরদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কলাপাড়ার একটি মামলার জামিন শুনানি ছিল। সেই মামলার বাদী হচ্ছে ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন মৃধা এবং আসামিরা হচ্ছেন কলাপাড়া বিএনপির লোকজন। আসামিরা জামিনের আবেদন করেছেন এবং অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-নোমানসহ ১৫-২০ জন আইনজীবী জামিনের জন্য শুনানি করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের এপিপিরা বাদীপক্ষের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন। আমিও ওখানে ছিলাম। আদালত দুজনকে হাজত দেন এবং অন্যদের জামিন দেন। এ বিষয় নিয়ে নোমান সাহেব আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। এ সময় আমিসহ উপস্থিত আইনজীবীদের সঙ্গে তাঁদের কথা-কটাকাটি হয়।

একপর্যায় তিনি বাইরে বের হয়ে কলাপাড়ার বহিরাগত যত লোকজন এসেছিলেন, তাঁদের নিয়ে আমাদের আইনজীবীদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেন এবং আজেবাজে স্লোগান দিচ্ছিলেন। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে একপর্যায়ে আমি আইনজীবীদের নিয়ে বার লাইব্রেরিতে চলে আসি। এ সময় তাঁরা আমাদের আইনজবীবীদের ধাওয়া করেন। আমরা বার লাইব্রেরি ভবনের মধ্যে ঢুকে পড়ি এবং মেইন গেট আটকে দিই। তারপরও তাঁরা বহিরাগতদের নিয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির মধ্যে ঢুকতে বারবার চেষ্টা চালান এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।’

ঘটনার বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির জানান, আজকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। যে আইনজীবী এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ঘটনার পর আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনজীবীদের একটি অংশ আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগান দেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।