নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন শিকদার ওরফে লিটু (৩২) কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৫ আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৪ আগস্ট) বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী আদলতের বিচারক মো. সাদিক আহমেদ দায়েরকৃত মামলার ৪৯ নং আসামি রাতুল মোল্লাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অপর ৪ আসামিকে শুক্রবার (১ আগস্ট) বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নূরুন নাজনীন জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
জেলহাজতে প্রেরণ করা আসামিরা হলেন- দায়েরকৃত মামলার ১৬ নং আসামি জলিল হাজারী, ৩১ নং আসামি কামাল হাওলাদার, ৩২ নং আসামি আরিয়ান ইসলাম সোহাগ ও ৩৪ নং আসামি রাজু হাওলাদার।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পূর্ব বিল্ববাড়ি এলাকায় পুলিশের কাছ থেকে লিটুকে ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে হত্যার পাশাপাশি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার অনুকূলে শুক্রবার (১ আগস্ট) বরিশালের এয়ারপোর্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন নিহত লিটুর বোন মোসাঃ মুন্নি (৩৫)। মামলায় নামধারী ৬১ জন ও অজ্ঞাতনামা ১৫০/২০০ জনকে আসামি করা হয়।
নামধারী আসামিরা হলেন- বাদীর স্বামী মোঃ জাকির হোসেন গাজী (৪০), মো. মিলন গাজী (৩২), মো. রাজীব গাজী (২৫), মো. রাসেল হাওলাদার (২৬), মো. রিয়াজ মাহমুদ খান মিল্টন (৪০), মো. কামাল সিকদার (৪৫), মো. কামাল (৩০), মো. জামাল (৪০), নয়ন গাজী (৩৫), মো. ছানি (১৯), আলো গাজী (৫৫), মোসা. জিনিয়া আক্তার (১৯), মোসা. হাবিবা আক্তার তিনা (১৫), মোসা. শাহিনুর (৪৫), মো. কালু হাওলাদার (৪০), মো. জলিল হাজারী (৭৫), নিলুফা আক্তার নীলা (৪৫), মোসা. ইলা (২৫), মোসা. মেখলা (২৪), মোসা. পারভীন (৪০), মো. আইয়ুব (৫০), মো. সোবাহান (১৯), মো. মোকছেদ গাজী (৭০), কাওছার ওরফে ডিপজল (২৮), মো. আনিচ (৪০), মো. সুমন (২৫), সীমা বেগম (৩০), মো. আবুল হাজারী (২৮), মো. বাবুল হাজারী (৩০),মোসা. নুর বানু (৫৫), মো. কামাল (৩৮), আরিয়ান ইসলাম সোহাগ (১৯), মো. মুন্না হাওলাদার (২০), মো. রাষ্ট্র হাওলাদার (২৫), স্বপন (৩২), শামীম গাজী (৪০), পারভেজ (২৮), মো. রেজভী ফকির (৪০), মো. আলাউদ্দিন (৪৮), মো. সোহরাব (৪০), মো. মিজান (২২), মো. জাহিদ (২৫), মো. অনিক (২২), মো. রেশাদ (২৫), মো. পলাশ (৪০), মোসা. রিমা (৪৫), মো : সোহাগ (৩৮), মো. মিরাজ মোল্লা (২৫), মো. রাতুল মোল্লা (২০), হাসিব (২২), মো. সোহেল গাজী (৪০), সায়েম (১৯), মোসা. শাহানাজ (৩২), মোসঃ তাছলিমা বেগম (৬০), মো. শুক্কুর (২২), মো. হাবিব (২২), মো. মাসুম (৪২), মো. শহিদ (২৮), মো. সুজন (২৮), মো. মনির খান (৩৫) ও পলি খাতুন (৩০) ।
লিটু হত্যার পরই আত্মগোপনে চলে যায় দায়রেকৃত মামলার আসামি জাকির ও মিল্টন। এমনকি জাকির (০১৭৯৩৫৩৪০৪৭) ও মিল্টন (০১৭১২-৭৫৭৯৫৭ ও ০১৭১১ ৩৮৮৮৭৫) এর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরেও কল দিয়ে পাওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, মাস কয়েক ধরে নিহত লিটুর বোন মুন্নি ও তার স্বামী জাকির হোসেন গাজীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে। নিহত লিটুর বোন মুন্নি ও দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেন- হামলার সময় লিটুর হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় ৫নং আসামি মিল্টন। তারপর অন্যান্য আসামিরা হামলা চালিয়ে বাদি সহ তার ভাই-বোনদের পিটিয়ে কুপিয়ে আহত-নিহত করে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে জাকিরের নির্দেশেই এ হমলার ঘটনা ঘটে।