• ৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান-ইসরাইল সংঘাতে বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত জুন ২৩, ২০২৫, ২৩:০৩ অপরাহ্ণ
ইরান-ইসরাইল সংঘাতে বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম
সংবাদটি শেয়ার করুন....

অনলাইন ডেস্ক : ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে। সম্প্রতি এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিত্র দেশ ইসরাইলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও ইরানে হামলা চালিয়েছে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালানোর পরই সপ্তাহের প্রথম লেনদেনের দিনে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বাড়তে দেখা গেছে।

বিশ্ববাজারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল অর্থাৎ অপরিশোধিত তেলের দাম শুরুর দিকে তিন শতাংশের বেশি বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৭৯ ডলারের ওপরে উঠেছে। খবর বিবিসির।

মার্কিন হামলার পর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল যে, তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় বাজারে তেলের দাম বাড়বে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুট হরমুজ প্রণালি বন্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। তবে এ সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে।

৩৫ থেকে ৬০ মাইল (৫৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটার) প্রশস্ত হরমুজ প্রণালি পারস্য উপসাগর ও আরব সাগরকে সংযুক্ত করেছে। এই রুট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেল ও তেলজাত পণ্য পরিবহন করে বিশ্ব শিপিং সংস্থাগুলো, যা বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।

ইরানের দক্ষিণে অবস্থিত এই জলপথটি বিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানি সরবরাহের জন্য একটি সংকীর্ণ বাধাবিন্দু, যার মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের ২০ শতাংশ এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ২০ শতাংশ প্রবাহিত হয়। হরমুজ প্রণালিকে ঘিরে থাকা প্রধান দেশগুলো হলো ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান। এই দেশগুলোই হরমুজ প্রণালি নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করে।

ইরান যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেয় তবে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সময় বেশি ব্যয় হতে পারে এবং এর তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে তেলের দামের ওপর। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য যেসব দেশ উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে তেল আমদানির ওপর নির্ভরশীল তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে বিশ্বজুড়ে তেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।

এদিকে সোমবার ইসরাইলি হামলার জবাবে আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পালটা হামলা চালিয়েছে ইরান।দেশটির ভূখণ্ড থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তের কথা জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীও। ইতোমধ্যে দেশটির মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে সাইরেন বাজতে শুরু করেছে।

এর কিছুক্ষণ আগে উত্তর ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে। আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের শত শত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গত দশ দিনে ইসরাইলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বেশিরভাগ ক্ষতি হয়েছে মধ্য ইসরাইলে। এছাড়া হাইফা শহরেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটি বারবার আঘাতের শিকার হয়েছে।