• ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষ, আহত ২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত নভেম্বর ৭, ২০২৫, ২২:৪৫ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালীতে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষ, আহত ২৫
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের চরশিবা দক্ষিণ কপালবেড়া খলিফা বাড়ির সামনে চৌরাস্তায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও পটুয়াখালী-৩ আসনের প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রাখেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে নির্বাচনি সমঝোতার অংশ হিসেবে এ আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি।

এই খবরে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। তারা দলীয় নেতা হাসান মামুনকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে নামেন। এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে চর শিবায় উভয় দলের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ায় অন্তত ২৫ জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কর্মী ইলিয়াস রাঢ়ি, সবুজ রাঢ়ি, নূরনবী রাঢ়ি, হাসান রাঢ়ি, কুদ্দুস ব্যাপারী, ইয়াকুব রাঢ়ি, ওমর রাঢ়ি, রাহান রাঢ়ি ও সলেমান রাঢ়ি রয়েছেন। অন্যদিকে, গণঅধিকার পরিষদের আহতদের মধ্যে রয়েছেন যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল খলিফা,শাহাবুল খলিফা, আজমির খলিফা, আমেনা বেগম, নাঈম খলিফা ও নবীন খলিফা সহ আরো অনেকে।

ঢাকা মহানগর উত্তর যুব অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ও নুরুল হক নুরের ভাই আমিনুল ইসলাম নুর বলেন, চর কপালবেড়ায় আমাদের ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সভা চলছিল। বিএনপি কর্মীরা ৭ নভেম্বরের কর্মসূচি শেষে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

অন্যদিকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা জরুরি। কোনো প্রকার উসকানি নয়, শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষাই এখন প্রয়োজন।

গলাচিপা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় দুই পরিবারের পুরোনো দ্বন্দ্ব থেকেই রাজনৈতিক বিরোধের সূত্রপাত হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বি.দ্র: এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি। © জনতার বরিশাল