নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের আন্দোলনের সময়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার এক আসামি গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় এক নারী সহ কয়েকজন আন্দোলনকারী জোরপূর্বক পুলিশের গাড়িতে উঠে বসেন। যদিও পরে তারা আবার সেচ্ছায় চলে যান। তখনকার সময় এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওক্লিপ যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু ঘটনার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরে হঠাৎই উল্লেখিত ঘটনায় শ্লীলতাহানী ও হেনস্তার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন সিএন্ডবি পোল থানা কাউন্সিল পেশকার বাড়ির মসজিদ গলির বাসিন্দা তাসমিন ইয়াসমিন।
মারধর ও শ্লীলতাহানিসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে করা মামলা দুদককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বরিশাল মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর মো. এমতাজুল হক এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী মো. শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান, ডিবি পুলিশ পরিদর্শক সগীর হোসেন, কোতয়ালী মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম, স্টিমারঘাট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই নাসিম বাইজিদ, কনস্টেবল বিশ্বজিৎ। এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে ডিবির পরিদর্শক সগীর হোসেন বলেন, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার এক আসামি গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় ওই নারীসহ ৫/৬ জন জোর করে পুলিশ পিকআপে ওঠে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা স্বেচ্ছায় চলে গেছে। তিনি আরো জানান, ঘটনার দীর্ঘদিন পরে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।