অনলাইন ডেস্ক: ভোলায় থানা হাজতে হাসান (২৩) নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। গত ৩১ মার্চ সোমবার ঈদের দিন রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে যে কোনো সময় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাসান ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
তিনি নারায়ণগঞ্জে রহমান গার্মেন্টসের একজন কর্মী ছিলেন। ঈদে গ্রামের বাড়ি ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামে এসেছিলেন।
পুলিশ বলছে, আসামি আত্মহত্যা করেছে। আর স্বজনদের প্রশ্ন থানা হাজতে আসামি কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারে?
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি ধর্ষণ মামলার অভিযোগে আসামি হাসানকে আটক করে থানা-পুলিশ। এ সময় ভিকটিমকেও তাদের হেফাজতে রাখা হয়।
পরে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আসামি হাসানকে বিকেলে সদর মডেল থানার হাজতে আটকে রাখা হয়। পরে রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে যেকোনো সময় হাজতের মধ্যে থাকা জায়নামাজ পেঁচিয়ে বাথরুমে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। পরে থানায় দায়িত্বরত সেন্ট্রি দেখতে পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
তবে, নিহত হাসানের স্ত্রী নুর নাহার দাবি করে বলেন, মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ এনে মেয়ে পক্ষের লোকজন আমার স্বামীকে মারধর করেছে। আর পুলিশও মিথ্যা মামলায় আসামি করে আমার স্বামীকে আটক করে হাজতে ভরেছে। হাসানের স্ত্রী নুর নাহার প্রশ্ন করে বলেন, থানা হাজতের মধ্যে একজন আসামি জায়নামাজ দিয়ে কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারেন?