নিজস্ব প্রতিবেদক : বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী বাজারের পশ্চিম মাথায় বিএফডিসি মাছ বাজার সংলগ্ন এলাকায় জমি দখল, হামলা ও আদালতের আদেশ অমান্যের অভিযোগ উঠেছে বরফ কল মালিক প্রভাবশালী রফিক ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে। রফিক ইসলাম সুজনের বাড়ি বাগেরহাট জেলায়।
ভুক্তভোগী অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুক আহম্মেদের অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৮ সালে রফিক ইসলাম সুজন তার কাছ থেকে সাড়ে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রভাব খাটিয়ে তিনি দ্বিগুণ পরিমাণ জমি দখল করে নেন। শুধু তাই নয়, ফারুক আহম্মেদ ও তার পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র পথ বন্ধ করে দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
২০২৩ সালে ফারুক আহম্মেদের জমির ভিতরে ঢুকে বরফ কল মালিক সুজন ভবন নির্মাণের চেষ্টা করলে ফারুক মাস্টারের পরিবার বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুজন ও তার বাহিনী ফারুক মাস্টার ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর ফারুক আহম্মেদ থানায় মামলা দায়েরের পাশাপাশি বরগুনা জেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করলে পাথরঘাটা এসিল্যান্ডকে তদন্ত ভার দেন জেলা প্রশাসন। তদন্তে সরকারি জমিসহ মালিকানা জমি দখলের প্রমাণ পাওয়ায় এসিল্যান্ড অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গার ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন এবং ফারুক আহম্মেদের পরিবারের যাতায়াতের পথ পুনরায় খুলে দেন। তবে কিছুদিনের মধ্যেই রফিক ইসলাম সুজন অদৃশ্য শক্তির বলে পুনরায় জমি দখল করেন এবং উল্টো ফারুক আহম্মেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন রকম হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে আদালত দুই পক্ষকেই নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে জমিতে কোনো স্থাপনা বা নির্মাণকাজ না করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রফিক ইসলাম সুজন খামখেয়ালীভাবে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এমনটাই দেখা গেছে সরেজমিনে।
অভিযুক্ত বরফ কল মালিক রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, আমি ফারুক আহমেদের কাছ থেকে বৈধভাবে জমি ক্রয় করেছি। মাপজোক করে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর দেখি, আমার ক্রয়কৃত জমির ভেতরে তার একটি ঘর রয়েছে। তাকে ঘরটি সরিয়ে নিতে বললে বিরোধের সূত্রপাত হয়। পথের হাঁটার জায়গা নিয়েও বিরোধ তৈরি হয়েছে। তাদের কোনো জমি আমি দখল করিনি, বরং তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করছে।
মিথ্যা মামলা ও পরিবারের উপর হামলা বিচার না পেয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন ফারুক আহম্মেদ ও তার পরিবার। স্থানীয় সচেতন মহল বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন।