নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্মাণের ২৩ বছরেও সংস্কার হয়নি বরগুনার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৭টি ব্যারাক। ভূমিহীন ও হতদরিদ্রদের জন্য নির্মিত এসব ঘর এখন বসবাসের অনুপযোগী। এছাড়া পয়ঃনিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।
জানা গেছে- ২০০২ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৭ টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর এসব ব্যারাকে ১ হাজার ৮০৯টি ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবারের মাথাগোঁজার ঠাঁই হয়। তবে দীর্ঘ ২৩ বছরেও অবকাঠামোগত সংস্কার না হওয়ায় সবগুলো ব্যারাক এখন বসবাস অনুপযোগী। প্রায় প্রত্যেকটি ঘরের চালা ফুটো, বেহাল দশা। জরাজীর্ণ ঘরগুলোতে কোনো রকমে দিন কাটছে সহস্রাধিক পরিবারের।
এছাড়া বেড়িবাঁধের বাইরে অধিকাংশ ব্যারাক নির্মাণ করায় জোয়ারে প্লাবিত হয় প্রতিনিয়ত। এতে ভোগান্তির শেষ নেই বাসিন্দাদের। তারা জানান, সরকার ঘর দিয়েছে ঠিকই। তবে এগুলো সংস্কারের অভাবে ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া জোয়ারে প্লাবিত হয় অধিকাংশ ঘরবাড়ি।
জেলা প্রশাসন বলছে, বরাদ্দ পেলেই সংস্কার করা হবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকগুলো। বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম বলেন, ভূমিহীন মানুষকে থাকার জন্য ঘর দিয়েছে সরকার। তবে তারা যদি ঘর সংস্কারে অক্ষম হয়, তাহলে জেলা প্রশাসন সাধ্যমতো সহযোগিতা করবে।
জেলার ৩৭ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের মধ্যে বরগুনা সদরে ১৫টি, পাথরঘাটায় ৮টি, আমতলীতে ৬টি, তালতলীতে ৬টি এবং বেতাগী উপজেলায় ২টি রয়েছে।