নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার আওতাধীন স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই গোলাম মোঃ নাসিম হোসেনের তৎপরতায় চলছে একের পর এক সফল মাদক অভিযান। তিনি এই ফাড়িতে যোগদানের পরে থেকে এখন পর্যন্ত একাধিক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছেন ও তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছেন। স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন এলাকাতে তিনি মাদকসহ যে কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ১১ টা ৩০ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর আবাসিক হোটেল স্বাগতম থেকে ২১ পিস ইয়াবাসহ মেহেদি হাসান নামে এক যুবককে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামী হোটেল স্বাগতমের মালিক ও পটুয়াখালী সদর ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মজিবুর রহমানের ছেলে মোঃ মেহেদি হাসান (১৯)। কানকি গ্ৰামের মৃত আবু হাওলাদার ছেলে রুবেল হাওলাদার (৩৫)। সূত্রে জানা যায়, হোটেল স্বাগতমে দীর্ঘদিন ধরে নারী ও মাদক ব্যবসা চলে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ সেপ্টেম্বর (রবিবার) রাত সাড়ে ১১টার সময় স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ চৌকস অফিসার গোলাম মোঃ নাসিমের নেতৃত্বে এএসআই-আবদুল কাইয়ুম, এএসআই-আমিনুল, এটিএসআই-মোঃ মাহবুব এবং সংগীয় ফোর্স হোটেল স্বাগতমে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় হোটেল স্বাগতমের মালিক মোঃ মজিবুর রহমানের ছেলে মোঃ মেহেদি হাসান (১৯) কে ২১ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
স্টীমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোঃ নাসিম হোসেন জানান, কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান স্যারের দিকনির্দেশনার মোতাবেক মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি। ইতিমধ্যে আপনারা অবগত আছেন যে মাদকের হটস্পটখ্যাত কেডিসি কলোনিতে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারিদের আনাগোনা কমেছে। পূর্বের থেকে এই ওয়ার্ডে অনেকটাই মাদক ক্রয়-বিক্রয় নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।