• ৯ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সামাজিক নিরাপত্তায় জনপ্রতিনিধির বিকল্প নেই: বরিশালে পরিকল্পনা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত মে ১৯, ২০২৫, ২২:৪৫ অপরাহ্ণ
সামাজিক নিরাপত্তায় জনপ্রতিনিধির বিকল্প নেই: বরিশালে পরিকল্পনা উপদেষ্টা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে হলে স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততার কোনো বিকল্প নেই।

পাশাপাশি, স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমও স্থানীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করে না করলে তার সুফল পাওয়া যায় না। এসব ক্ষেত্রেই জনগণের কাছে সুফল পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধির ভূমিকাই মুখ্য।

সোমবার (১৯ মে) বিকেলে বরিশাল সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বরিশাল মহানগরের নাগরিক সুবিধা বিষয়ে স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজ ও এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপদেষ্টা আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বরাদ্দের প্রায় অর্ধেকই রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রদান করা হয়। এটি না হলে প্রকৃত উপকারভোগীরা আরও বেশি সুবিধা পেতেন।

আমাদের হাতে এমন অনেক বড় প্রকল্প রয়েছে যেগুলো না গিলে পারছি, না ফেলতে পারছি। ৫০ কোটি টাকার কম ব্যয়ের প্রকল্প হলে দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়ন সম্ভব।

তবে এর বাইরে বড় প্রকল্প আপাতত নেওয়া হবে না—একমাত্র ব্যতিক্রম মাতারবাড়ি প্রকল্প। এর পাশাপাশি ফরিদপুর-বরিশাল-কুয়াকাটা ছয় লেন সড়ক প্রকল্প ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা হবে গাছ কাটা বা ঘরবাড়ির ক্ষতি ছাড়াই।

বরিশালের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই নগরী প্রাচ্যের ভেনিস হতে পারত। কিন্তু আমরা আমাদের খালগুলোর যত্ন নিইনি। এর ফলে শুধু সেচব্যবস্থায় ক্ষতি হয়নি, ভূপৃষ্ঠের পানিও ব্যবহার করতে পারছি না।

বরিশালের পানি পরিশোধনাগার দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। লাভ-ক্ষতির হিসাব সঠিক থাকলে সেটিকে পুনরায় চালু করা হবে। ভূপৃষ্ঠের পানির ব্যবহার আমাদের আরও বাড়াতে হবে।

তিনি আরও জানান, আমরা কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে অনুসন্ধান ও প্রকল্প গ্রহণ করেছি। ভোলার একটি গ্যাস ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে।

বরিশাল ভৌগোলিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এখানে একটি হাব (কেন্দ্র) গড়ে তোলা উচিত, আর এজন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে। ভোলার গ্যাস এই অঞ্চলে ব্যবহার করা সম্ভব হলে বরিশালে শিল্পের বিকাশ ঘটবে, তবে অবশ্যই পরিবেশ রক্ষা করেই।

এ সময় বরিশালের জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।