• ৯ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে সালিশ বৈঠক শেষে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধা নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত মে ১৮, ২০২৫, ২১:৪৬ অপরাহ্ণ
বরিশালে সালিশ বৈঠক শেষে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধা নিহত
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে না নেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত রাবেয়া বেগম (৭০) নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

রোববার (১৮ মে) নগর পুলিশের বন্দর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা করেছে নিহতের নাতি জুলহাস খান। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, শনিবার (১৭ মে) বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শুক্রবার রাতে তিনি হামলার শিকার হয়েছেন মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে কয়েক দিন আগে বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী চৈতন্য স্কুল সংলগ্ন নিজ বাড়িতে ঘর উত্তোলন শুরু করেন নিহত বৃদ্ধাসহ তার স্বজনরা। এ সময় প্রতিবেশী আবুল কালাম আজাদ, তার ছেলে বানারীপাড়া ভূমি অফিসে কর্মরত সুজন হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন ঘর উঠাতে বাধা দেয়।

এ দ্বন্দ্ব নিরসনে শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে বৃদ্ধার নিজ বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে দু’পক্ষ। এ সময় নিহত বৃদ্ধাসহ তার স্বজনরা সালিশ মেনে নিলেও প্রতিপক্ষ তা অমান্য করে। এরপর বৈঠক শেষে হামলা চালিয়ে নিহত বৃদ্ধাসহ পাঁচজন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ।

নিহত রাবেয়া বেগম বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী এলাকার মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের স্ত্রী।

মামলার বাদী জুলহাসের অভিযোগ, ঢাকায় বসবাসরত তার মামা কামাল হাওলাদার সম্প্রতি পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর উত্তোলন শুরু করেন। এ সময় একই বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদসহ তার ছেলে বানারীপাড়া ভূমি অফিসে কর্মরত সুজন হাওলাদার, অপর ভাই লিজন, নান্টুসহ অন্যরা বাধা দেয়।

এ বিরোধ মেটাতে শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে কর্ণকাঠী চৈতন্য স্কুল সংলগ্ন নিজ বাড়িতে স্থানীয় সমাজসেবক সুমন হাওলাদার ও শহিদ খানসহ অন্যরা সালিশ বৈঠকে বসেন। এ সময় আমার মামা কামাল সালিশদারদের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও প্রতিপক্ষ তা অমান্য করে।

এরপর বৈঠক শেষে অভিযুক্তরা হামলা চালিয়ে রাবেয়া বেগম, লিমা বেগম, রুমা বেগম, কামাল হাওলাদার ও জুলহাস খানকে আহত করে।

আহতদের মধ্যে বৃদ্ধা রাবেয়া বেগম গুরুতর অসুস্থ পড়লে শনিবার সকালে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবারই তিনি মারা যান।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের একজন সুজন হাওলাদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

বরিশাল বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।