• ১০ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলা অগ্নিকাণ্ডে ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে, প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত জুন ১৮, ২০২৫, ২২:৫৭ অপরাহ্ণ
ভোলা অগ্নিকাণ্ডে ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে, প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলার লালমোহন উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের দালাল বাজারে মাস্টার মো. হাবিব উল্যাহ মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো— মাস্টার মো. হাবিব উল্যাহ মার্কেটের মো. রায়হানের “মায়ের দোয়া পার্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স”, সোহাগ চন্দ্র দাসের “ভাই ভাই সেলুন, আরজু মিয়ার ভূষা মালের আড়ৎ এবং মো. জাকিরের চালের আড়ৎ।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. রায়হান জানান, রাতে আমি দোকানের ভেতর ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড গরম লাগায় ঘুম ভেঙে যায়। এরপর উঠে দেখি পাশের সেলুনের দোকানে আগুন জ্বলছে। পরে আমার ডাক-চিৎকার শুনে বাজারের অন্যান্য দোকানিরা ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। পরে তারাও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সবাই মিলে অনেক চেষ্টা করেও ৪টি দোকানের কোনো মালামাল কিংবা টাকা রক্ষা করা যায়নি। সবই আগুনে পুড়ে গেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে আমাদের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।

লালমোহন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।

এদিকে, বুধবার সকালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নিতে ছুটে যান লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের শুকনো খাবার এবং নগদ ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। পরবর্তীতে সরকারি বরাদ্দ সাপেক্ষে আরও সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন ইউএনও মো. শাহ আজিজ।