• ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক প্রেমিকাকে তুলে এনে ধর্ষণ: থানায় মামলা, গ্রেফতার ২, পালাতক ১

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত নভেম্বর ৬, ২০২৫, ২২:৪১ অপরাহ্ণ
সাবেক প্রেমিকাকে তুলে এনে ধর্ষণ: থানায় মামলা, গ্রেফতার ২, পালাতক ১
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কলস গ্রামে সাবেক প্রেমিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে, অপর এক নারী সহযোগী এখনো পলাতক রয়েছেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের লাকুটিয়া এলাকার ফারুকুল ইসলামের ছেলে অন্তু (৩০) এর সঙ্গে উজিরপুর উপজেলার মরিয়ম আক্তার নিশী (ছদ্মনাম) নামের এক নারীর অনলাইনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে কিছুদিন পর নিশী জানতে পারেন, অন্তু মাদকাসক্ত ও নারীলোলুপ স্বভাবের। এরপর তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

 

সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর অন্তু বিভিন্নভাবে নিশীর সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। পরে আলোচিত টিকটকার মারিয়া আক্তারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অন্তু নতুন করে পরিকল্পনা করে। মারিয়া নিশীর সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন।

 

গত ৪ নভেম্বর, মারিয়া উজিরপুরে গিয়ে নিশীকে জানান, একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে। ওইদিন তিনি নিশীকে বাসা থেকে বের করে নিয়ে যান। এরপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে মারিয়া, অন্তু ও হৃদয় (রিদয়) মিলে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানাধীন কাশিপুর ইউনিয়নের কলস গ্রামে রিদয়ের বাসায় নিয়ে গিয়ে মারধর, নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

পরদিন ৫ নভেম্বর দুপুরে সুযোগ বুঝে নিশী ওই বাসা থেকে পালিয়ে এয়ারপোর্ট থানায় আশ্রয় নেন এবং অভিযোগ দায়ের করেন।

 

এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “ভিকটিম থানায় এসে ধর্ষণের অভিযোগ করলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে মামলা (নং-০৯/০৫ নভেম্বর ২৫) গ্রহণ করি। পরে এসআই আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে রিদয়কে নিজ বাড়ি থেকে এবং অন্তুকে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক মারিয়া আক্তারকে ধরতে অভিযান চলছে।”

 

ভিকটিমের কাজিন তুষার বলেন, “অন্তুর আগেও এক স্ত্রী ও সন্তান ছিলো। সে মাদকাসক্ত ও একাধিক মামলার আসামি। ডিভোর্সপ্রাপ্ত স্ত্রী সম্পর্কে তথ্য জানার অজুহাতে নিশীর সঙ্গে সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে নিশীর কাছে থাকা গোপন ভিডিও উদ্ধারের জন্যই তাকে পরিকল্পিতভাবে তুলে এনে ধর্ষণ করে।”

অন্যদিকে, আসামি রিদয়ের মা জেসমিন বেগম দাবি করেন, “ঘটনার দিন আমি আমার বাবার বাড়িতে ছিলাম। আমার ছেলে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত নয়।”

ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, “ভিকটিমকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের ডিএনএ টেস্ট করানো হবে। তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো তদবির বা প্রভাব খাটানোর সুযোগ দেওয়া হবে না।”

বি.দ্র: এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি। © জনতার বরিশাল